এতে শিশুটি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১ টায় বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর চাচা সিকন্দর আলী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বাংলা পরীক্ষায় ছবি দেখে আমপাতা লিখতে না পারায় প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বেত নিয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিনের পিটে হাতে একাধিক আঘাত করেন। আঘাতের এক পর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আহত সুরাইয়া বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ে এসে শিশুটির পিতা প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অসৌজন্যমূলক আচরন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরনাপন্ন হই। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। আহত সুরাইয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে অভিযোগ বিষয়ে মোবাইল ফোনে আলাপকালে শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, আমি রাগের বশিভূত হয়ে দু’টি বেত্রাঘাত করেছি।
ছাত্রীর চাচা অফিসে আসলে সেটি আমার ভূল হয়েছে বলার পরও তিনি বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার জয় হাজরা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, শিশুটিকে নিয়ে আমার কাছে আসলে শিক্ষা কর্মকতার কাছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি।